যান চলাচল

ঈদে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথ এবং নিউমার্কেটসহ বেশকিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএমপি। সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে এলাকায় যানবাহনের চলাচলের সুবিধার্থে এবং মহানগরের অন্যান্য রাস্তা চলমান রাখার জন্য কয়েকটি স্পটে ডাইভারসন দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং এর পরে ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ডাইভারশনগুলো মোতায়েন থাকবে।
ক্রসিংগুলো হলো-
১. পান্থপথ এলাকা, নিউমার্কেট এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা এবং মিরপুর- এসব এলাকায় যাওয়ার জন্য যানবাহনকে সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে শাহবাগ ঘুরে আসতে হবে ।
২. পান্থপথ, গ্রীণ রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে, রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেইটের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
৩. মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা নিউমার্কেটগামী যানবাহনকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং হতে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারসন দেওয়া হবে।
৪. নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনকে (সিটি বাস ছাড়া) নিউমার্কেট ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে ।
এ ছাড়া নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে সাইন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের উভয় পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে ৩টি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে।
সকল রিকশা চালক ও যাত্রীদের ওই লেনে চলাচল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যারা কেনাকাটা করবেন না তাদেরকে ওই দিনগুলোয় মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এমআর-২

ঈদে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলে গতিসীমা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (০৯ মার্চ) বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, ঈদে যানজট এড়াতে পদ্মা সেতুতে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে আগে যান চলাচলের গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার ছিল। ঈদের সময় যানবাহনগুলো যেন দ্রুত যেতে পারে সে জন্য গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে যানজট হবে না, গাড়িও আটকে থাকবে না।
ফাওজুল কবির খান জানান, ঈদের আগে রাস্তা সংস্কার করা এবং এগুলো আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১৫ রমজানের মধ্যেই যতটা সম্ভব সড়কের সংস্কারকাজ করা হবে।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে এক থেকে দেড় কোটি মানুষ গ্রামে যায়। ঢাকায় ছয়টা বাস টার্মিনাল এবং নৌ টার্মিনালে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। যাত্রীদের কী অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কী হয়রানি হচ্ছে- এগুলো তাৎক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
সড়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করি এবার যানজট কম হবে। টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সেজন্য মালিকপক্ষ আশ্বস্ত করেছে। কারণ ছুটি অনেক দিন। যারা বাড়ি যাবেন, তারা একদিন আগে-পরে করে যেতে পারবেন।
এমআর-২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কাঁচপুর অংশে ৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে যানজট দেখা দেয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের দশতলার সামনে একটি মালবাহী কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়কের একই স্থানে গাড়িটি রয়েছে বলে জানান পথচারী ও যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা তারা মিয়া বলেন, সকাল ছয়টার দিকে মালবাহী একটি গাড়ি উল্টে মহাসড়কে পড়ে থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়, চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর হাইওয়ে পুলিশ এসে গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার পর যানজট স্বাভাবিক হয়।
যানজটে আটকেপড়া একাধিক চালক বলেন, সকালে হঠাৎ একটি গাড়ি উল্টে সড়ক বন্ধ করে দেয়। ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম সিদ্দিকী সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সকালে ঢাকামুখী একটি কাভার্ডভ্যান উল্টে মহাসড়কে পড়ে যায়, এতে যানজটের যানজটের সৃষ্টি হয়। উল্টে যাওয়া গাড়িটি সরিয়ে ফেলেছি। এখন যানজট থাকবেনা বলে জানান তিনি।

ঢাবিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করল প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদের দপ্তর থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। শুক্র, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস চলাকালীন দিনগুলো বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবেশপথগুলোতে (শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
এইচএ

টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাদপন্থীদের ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে টঙ্গী ইজতেমা মাঠের বাহিরে স্টেশন রোড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিজামুদ্দিন মার্কাজ (সাদপন্থী) অনুসারীরা জানায়, আগমী ২০ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমার বিষয়ে প্রশাসনের আমন্ত্রণে তারা এখানে আসেন। সেখানে তারা বাধার সম্মুখীন হন। তারা আরও জানায়, সুরায়ে নেজাম (যুবায়ের পন্থী) টঙ্গীতে ৫দিনের জোড় ইজতেমা করলেও আমাদেরকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। আমরা জোড় ইজতেমা করার জন্য ময়দানে প্রবেশ করতে চাইলে আমাদেরকে তারা বাঁধা দেয় এবং হামলা চালায়।
এদিকে, একই দাবিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টারের সামনে চৌরাস্তা-জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে যুবায়ের অনুসারীরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সরিয়ে দিলে এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবি

২ দিন পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক
বকেয়া বেতন পরিশোদের দাবিতে টানা ৫৩ ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়েছেন। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বেতন পরিশোধের আশ্বাসের পর সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা।
এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকরা একটানা বিক্ষোভ ও অবরোধ করে আসছেন। এর ফলে মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মালেকের বাড়ি কলম্বিয়া এলাকায় টিএনজেড গ্রুপের পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক গত কয়েক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ দেই, দিচ্ছি করে দিন পার করছেন। তারা শ্রমিকদের দাবি মানছেন না। ফলে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয় শ্রমিক বিক্ষোভ।
বিষয়টি আমলে নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে শ্রমিকরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। তারপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এ অবস্থায় গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো মানুষ। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে শ্রমিকরা মহাসড়কে চট, পাটি ও পলিথিন বিছিয়ে অবস্থান নিয়ে তাদের বিক্ষোভ-অবরোধ পালন শুরু করে। অবশেষে গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশ, শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ৫৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসএফ

২ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
কুমিল্লায় কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এতে মহাসড়কের উভয় পাশেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলমান কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধ করে রাখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, বিকাল পৌনে ৪টায় দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন অবরোধকারীরা। এসময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার ব্যবহৃত গাড়িটি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
এসময় সাধারণ পথচারীর একটি মোটরসাইকেলসহ দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় গাড়িতে অবস্থান করা চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ
মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ৩টি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সকালে ঢাকামুখী লেনে একটি ট্রাকের পেছনে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এ সময় পর পর তিনটি ট্রাকের পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রাক। চালকসহ আহত হন চারজন। তবে নিহত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে একটি লেন।
শিবচর হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান জানান, মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে সকালে একটি ট্রাক বিকল হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়ানো ছিল। ওই ট্রাকের পেছনে এসে অপর আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এবং তার পেছনেই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুই ট্রাক চালক ও সহকারীসহ চারজন আহত হন।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ বলেন, আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে এখনও যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাহাড় ধসে বান্দরবান-রুমা সড়কে যান চলাচল বন্ধ
বান্দরবানে দুই দিনের টানা বর্ষণে পাহাড় থেকে মাটি ধসে সড়কের ওপর পড়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরে রুমা-বান্দরবান সড়কের দলিয়ান পাড়া এবং খুমী পাড়ায় মাটি ধসে সড়কের ওপর জমে থাকায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে সড়কটি সচল করতে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বান্দরবান জেলা ও রুমা উপজেলার দুটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে বান্দরবান-রুমা সড়কের দুটি স্থানে, এর ফলে রুমার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে সড়ক যোগগাযোগ স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর ২৬ ইসিবির সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কাজ করছেন। শিগগিরই সড়কটি আবার সচল করা সম্ভব হবে।
এআই

রুমা-থানচি সড়কে বেইলি ব্রিজ ধেবে যান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়কে লাইমীপাড়ার কাছে বেইলি ব্রিজের নিচের মাটি সরে গিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
থানচি বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান সাহাব উদ্দীন জানান, ব্রিজের গাইড ওয়াল ভেঙে গিয়ে এক পাশ দেবে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে রুমা-থানচি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবিন্দু চাকমা বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে মিলনছড়ি ক্যাম্প ও লাইমীপাড়ার মাঝামাঝি বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া হয় বান্দরবানে। এতে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় কাল সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয় রুমা, থানচি ও বান্দরবান সদরের। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেকটা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষ।
আরইউ

সংস্কার শেষে খুলে দেয়া হল পোস্তগোলা সেতু, যান চলাচল শুরু
সংস্কারকাজ শেষে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর পোস্তগোলা সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (নারায়ণগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হক।
তিনি বলেন, “মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সেতুটির মেরামত কাজ শুরু হয়। এরপর থেকে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান এবং লরির মতো ভারী যানবাহন সেতুটিতে চলাচল করতে পারেনি।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ে বাস, মাইক্রোবাস, গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিল।
গত দুই সপ্তাহে সেতুটির সংস্কারকাজ চলায় বিকল্প পথ হিসেবে চাপ বাড়ে বাবুবাজার সেতুতে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
২০২০ সালের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে উদ্ধার করতে আসে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় পোস্তগোলা সেতু পার হওয়ার সময় সেতুতে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায় জাহাজটি। এতে সেতুর নিচের পাটাতন ও বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর কয়েক দফায় সংস্কার করে সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।
আপনার অনুসন্ধানকৃত ডাটা খোঁজে পাওয়া যায়নি
